টুনটুনি ও কুনোব্যাঙ

অনেকদিন আগের কথা। পাহাড়ের ঢালে ঝরনার ধারে গর্তে থাকত এক কুনোব্যাঙ। তার পাশে শিম লতার ঘন ঝোপ। ঝোপের ধারে কুলগাছে বাসা বেঁধেছিল একটি টুনটুনি। ব্যাঙ আর পাখির মধ্যে খুব ভাব।

একদিন শহর থেকে ঘুরে এল কুনোব্যাঙ। শহর থেকে ফিরেই সে টুনটুনিকে ডাকল। বলল, ও টুনটুনি, শুনছ? শহরের লোকেরা বলছিল, আসছে শনিবার নাকি খুব ঝড় হবে।

স্বাধীনতার সুখ

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়েঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”

বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়?

হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা

সে এক আদ্যিকালের কথা।

জার্মানির একটি ছোট শহর। নাম তার হ্যামেলিন। শহরের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে একটি নদী। শহরের অদূরে মাথা উঁচু করে আছে পাহাড়ের সারি। দূর থেকে দেখলে সেসব পাহাড়কে ধূসর আর নীল মনে হয়।

ছবির মত সুন্দর শহর হ্যামেলিন। গাছপালার ছায়ায় ঢাকা শহরের পথঘাট। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রঙিন পানির ফোয়ারা। সবই ছিল হ্যামেলিনে, শুধু মানুষের মনে শান্তি ছিল না। নিশ্চিন্ত মনে কেউ খেতে শুতে পারত না।